রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়ালের গাড়িবহর দেখে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, নির্বাচনে ভোট ‘কারচুপি’ ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে বরিশালে বিএনপির প্রথম বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তারা। গতকাল সকাল ৭টায় গাড়িবহর নিয়ে বিএনপির এ দুই নেতা ঘাটে আসা মাত্রই ফেরি চলাচল রহস্যজনক কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় বলে তারা অভিযোগ করেন। সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি বন্ধ থাকে। তবে কী কারণে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল, তা বলতে রাজি হয়নি ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় হাজারো সাধারণ যাত্রী ও তিন শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) নাজমুল রায়হান।
তিনি জানান, গতকাল সকাল ৭টায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পরে সকাল ৭টার দিকে ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল ঘাটে আসেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করে বেলা ৯টার দিকে কোনো ফেরি না পেয়ে তাবিথ আউয়াল সি-বোটে ও ইশরাক হোসেন নেতাকর্মীদের নিয়ে এমভি মাসুম-২ নামের লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দেন। পরে দুপুর ১২টায় আবারও ফেরি চালু হয়।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ইশরাক ও তাবিথের ঘাটে আসার খবরে বাংলাবাজার ঘাট থেকে কোনো ফেরিই পাঁচ ঘণ্টা ছাড়েনি। শিমুলিয়া ১ ও ২ নম্বর ঘাটে নোঙর করা ফেরি থাকলেও সেগুলো বন্ধ ছিল। নেতাকর্মীদের সমাবেশে যাওয়ায় বিঘœ ঘটাতেই ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয় বলে এ কর্মকর্তার অভিযোগ।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।’
এদিকে পদ্মা পাড়ি দেয়ার আগে ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট সবারই জানা। দেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই। বর্তমান সরকারের দুর্নীতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যে অপকর্ম রয়েছে, তা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এসব থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে।’
Leave a Reply